জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর ঢাকা-৭ আসনের সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিম বলে উঠলেন, “এইদিন দিন না, আরও দিন আছে। এই দিন নিয়ে যাবে, সেই দিনের কাছে।”
দুই দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম এম. মিজবাহ উর রহমান।
পরে আদালত থেকে নামিয়ে হাজতখানায় নেওয়ার সময় ওই কথা বলেন সাবেক এমপি হাজী সেলিমের জ্যেষ্ঠ পুত্র সোলায়মান।
কোতোয়ালি থানার এসআই কে এম আবদুল হক এদিন সোলায়মান সেলিম ও ৩৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রঞ্জন বিশ্বাসকে আদালতে হাজির করেন। শুনানি নিয়ে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কোতোয়ালি থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই তানভীর মোর্শেদ এ তথ্য দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক পার হয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনে যায়। সেসময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অতর্কিত গুলিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী অনিক কুমার দাস আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনায় সে বছরের ২১ নভেম্বর অনিক শেখ হাসিনাসহ ২৫৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।
গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের তিন মাস পর ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সোলায়মান সেলিমকে।
২০১৪ সালের নির্বাচনে ঢাকা-৭ আসনে আওয়ামী লীগের টিকেট না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন হাজী সেলিম। নৌকার প্রার্থী মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে হারিয়ে এমপি হওয়ার পর সংসদের ১৬ জন স্বতন্ত্র সদস্যকে নিয়ে জোট গঠন করেন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হন হাজী সেলিম। তবে ২০২৪ সালে জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাজী সেলিম প্রার্থী না হলে ভোট করে আসনটি নিজের করে নেন তারই জ্যেষ্ঠ পুত্র সোলায়মান।