দেশজুড়ে নতুন করে ফুটবলের উন্মাদনা ছড়িয়ে দিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) যৌথভাবে আয়োজন করেছে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। “তারুণ্যের উৎসব”-এর অংশ হিসেবে আয়োজিত চ্যাম্পিয়নশীপের প্রথম পর্বে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে কক্সবাজার জেলা দল। খাগড়াছড়িকে ২-০ গোলে হারিয়ে মাঠ ছাড়ে কক্সবাজার।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) শহীদ ওয়াসিম জোন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে কক্সবাজারের হয়ে জোড়া গোল করেন মোহাম্মদ কায়সার। এর মধ্যে একটি আসে পেনাল্টি থেকে। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা উপহার দিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখে কক্সবাজার দল। সফরকারী খাগড়াছড়িও বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ পাই। কিন্তু দক্ষ ফরোয়ার্ডের অভাবে সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি তারা। কক্সবাজারের জাহাঙ্গীর, কায়সার, হেলাল ও বাবু পুরো ম্যাচ জুড়ে দারুণ পারফরম্যান্স দেখান। অপরদিকে খাগড়াছড়ির হয়ে ভালো খেলেন রাসেল ও রাজু মারমা। তবে তারা দলকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দিতে পারেননি।
দলকে দুই গোলে জয় এনে দিয়ে ম্যাচ সেরা হন কায়সার। তাঁকে ট্রফি তুলে দেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য মুহাম্মদ হোসাইন, সরওয়ার রোমন, সালাহউদ্দিন ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ।
খেলা শেষে কক্সবাজার দলের হেড কোচ মাসুদ আলম বলেন, আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ির হোম ভেন্যুতে তাদের সাথে অ্যাওয়ে মাচ খেলবো। এ জন্য আমরা আরও পরিকল্পনা গ্রহণ করছি। দলে থাকবে অভিজ্ঞ আরও কয়েকজন খেলোয়াড়।
খাগড়াছড়ি জেলা দলের কোচ তুহিন বড়ুয়া বলেন, আমরা অনুশীলনের জন্য সময় পাইনি। এ জন্য দল গঠন আশানুরূপ হয়নি। তবে আশা করছি আগামী ম্যাচে আমরা ঘুরে দাঁড়াবো।
জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের এই আসরে অংশ নিচ্ছে দেশের ৬৪টি জেলা। প্রাথমিক রাউন্ডে ৬৪ জেলা ৮টি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলছে। প্রথম দুই ধাপ হচ্ছে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে। সেখান থেকে ৬৪ দল কমে হবে ৩২, এরপর ১৬। শেষ পর্যন্ত নকআউট পর্বে সেমিফাইনাল শেষে ফাইনাল হবে জাতীয় স্টেডিয়াম ঢাকায়।