কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত ডিসি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় দর্শকদের তাণ্ডব ও স্টেডিয়ামে ভাঙচুরের ঘটনায় জেলা প্রশাসন দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। পাশাপাশি পুলিশও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে রামু ও টেকনাফ উপজেলার মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও, খেলা শুরুর আগেই উত্তেজনা দেখা দেয়। ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি দর্শক গ্যালারিতে প্রবেশ করে। দুপুর ২টার মধ্যেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে উত্তেজিত দর্শকরা প্রবেশ গেট ভেঙে মূল মাঠে ঢুকে পড়ে এবং বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন শনিবার স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে জানান, “তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এর নেতৃত্বে হামলা ও ভাঙচুর নিয়ে কাজ করবে, অন্যটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি ও কালোবাজারি নিয়ে তদন্ত করবে।”
তিনি আরও জানান, স্টেডিয়ামের বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুরের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে গণপূর্ত বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন শাহীন বলেন, “প্রায় ৫০ হাজার দর্শক মাঠে ছিল এবং বাইরে আরও হাজারো দর্শক অপেক্ষায় ছিল। এ অবস্থায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।”
সদর থানার ওসি মো. ইলিয়াস খান বলেন, “পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাসহ সবদিক বিবেচনা করে মামলা নেওয়া হবে।”
দাঙ্গায় স্টেডিয়ামের ড্রেসিং রুম, প্রেসবক্স, গোলপোস্টসহ বহু স্থাপনা ভাঙচুর হয়। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় অন্তত ৫০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে পুলিশ, আনসার সদস্য ও দর্শক রয়েছেন।
জেলা প্রশাসন দ্রুত তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।