কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের সওদাগরহাট–রহমানিয়া মাদ্রাসা সড়কের উন্নয়ন কাজ প্রায় সাত মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। যানবাহন চলাচল প্রায় অচল হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ী, স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায় মেসার্স ছৈয়দ আহমদ উজ্জল ট্রেডার্স। প্রথমে পুরনো কংক্রিট তুলে আংশিক ঢালাই করলেও পরবর্তীতে কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার।
টমটম চালক আব্বাস ও সিএনজি চালক শওকত বলেন, কাজ শুরুর আগে সড়ক মোটামুটি চলাচলযোগ্য ছিল। এখন খানাখন্দে ভরপুর হয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। ভাড়াও কমে গেছে।
বারবাকিয়া সওদাগর হাটের ব্যবসায়ী আনিসর রহমান বলেন, সড়কের নাজুক অবস্থা থাকায়, ক্রেতা সাধারণ বাজারে আসতে পারছেনা। যার কারণে বাজারের ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। দ্রুত সময়ে কাজ শুরু করার দাবী জানান তিনি।
হোছনে আরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা আলী বলেন, বিদ্যালয়ের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী একমাত্র সড়ক এটি। কাজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। সড়কের কারণেই বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার সময় অনেক শিক্ষার্থীর কাপড়চোপড় নষ্ট হচ্ছে। আমরা দ্রুত সড়কের কাজ বাস্তবায়ন চাই।
বারবাকিয়া ইউপির চেয়ারম্যান এএইচএম বদিউল আলম জিহাদী বলেন, বিগত এক যুগ ধরে বারবাকিয়া ইউনিয়ন উন্নয়নে বৈষম্যের শিকার হয়েছে। বহু চেষ্টার পর ওই সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু হলেও ঠিকাদার কাজ না করে চলে যাওয়ায় জনসাধারণ খুবই কষ্ট পাচ্ছে। এ ইউনিয়নে আরও একাধিক সড়ক একই অবস্থায় পড়ে আছে। ওই কাজগুলো শুরু না করলে সড়কগুলো দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী সৌরভ দাশ বলেন, বর্ষার কারণে কাজ কিছুটা দেরি হয়েছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে কাজ শুরু না হলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।