দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় আরও ৪২ কোটি ১২ লাখ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭৮ কোটি ৯১ লাখ ৭১ হাজার ৪২ টাকা।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই ব্যয় বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে গুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলেগেজ ট্র্যাক নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পে নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনক্রমে এই প্রকল্পের একটি প্যাকেজের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যৌথভাবে এসএমইসি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড, অস্ট্রেলিয়া; ক্যানারেই কনসাল্টিং, কানাডা; সিস্ট্রা,ফ্রান্স; এইসি কন্সাল্টিং, বিডি এবং স্ট্রাটেজিক কন্সাল্টিং কোম্পানি লিমিটেড বিডিকে নিয়োগ দেওয়া হয়। চুক্তি মূল্য ছিল ৪১৬ কোটি ৫১ লাখ ২৭ হাজার ৪৫৮ টাকা।
চুক্তি অনুসারে পূর্ত কাজ চলমান অবস্থায় প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি হওয়ায় আইটি-ভ্যাট ও ডলারের হার পরিবর্তন হয়। ফলে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৬২ কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৫৮৪ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।
ভেরিয়েশনের কারণ- ভ্যাট-ট্যাক্স হার এবং ডলার হার পরিবর্তন। ভেরিয়েশন প্রস্তাবে কোনো নতুন আইটেম যুক্ত হয়নি। ভেরিয়েশন প্রস্তাব মূল চুক্তি মূল্যের ১৪.৯৮ শতাংশ বেশি। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত কাজের ভৌত অগ্রগতি ৯৪.৯১ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৯০.৮৭ শতাংশ।
এদিকে বৈঠকে ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প, কুমিল্লা জোন; প্রকল্পের আওতায় টার্নকি ভিত্তিতে উপকেন্দ্র স্থাপন, মানোন্নয়ন ও বে-সম্প্রসারণ কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রকল্পের আওতায় টার্নকি ভিত্তিতে উপকেন্দ্র স্থাপন, মানোন্নয়ন ও বে-সম্প্রসারণ পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৮টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তার মধ্যে ২টি প্রস্তাব কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল ইলেক্ট্রিক এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড বাংলাদেশ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১২২ কোটি ৭৯ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৭ টাকা।