জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে অঘটন ঘটেই চলেছে। স্বাগতিক সদর ও চকরিয়ার পর এবার টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে রানিং চ্যাম্পিয়ন মহেশখালী।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর সাডেন ডেথ টাইব্রেকারে ৬-৫ গোলে মহেশখালীর স্বপ্ন ভঙ্গ করে ফাইনালে যাওয়ার গৌরব অর্জন করে রামু। দীর্ঘদিন পর রম্যভূমি রামু কোন টুর্নামেন্টে ফাইনালে যায়।
খেলা শুরুর আগে থেকে সবাই এই আসরের গেল বারের চ্যাম্পিয়ন মহেশখালীকে জয়ের সমীকরণে এগিয়ে রাখে। তবে খেলায় রামুর তীব্র প্রতিরোধ দেখে সবার সে ধারণা বদলে যায়। ম্যাচের ২৮ মিনিটে জাহেদের দুর্দান্ত একটি গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় রামু। এসময় আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে রামুর হাজারো সমর্থক। গোল হজম করে পাল্টা প্রতিরোধও করে মহেশখালী, কিন্তু তাতে সফল হতে পারেনি তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে ডিফেন্সিভ খেলতে থাকে রামু। এতে গোল শোধে মরিয়া হয়ে উঠে মহেশখালী। সমানতালে চলে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ। যার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারীর জনসমুদ্রেও। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে খানিক স্বস্তি ফেরে মহেশখালী শিবিরে। এসময় ক্রস থেকে বল পেয়ে বুক দিয়ে রিসিভ করে রামু জালে বল পাঠান বিদেশি খেলোয়াড় ব্রা। তার গোলে সমতায় ফেরে মহেশখালী। কিন্তু খেলা শেষ পর্যন্ত দুদলই আর গোলের দেখা পাইনি। যার ফলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারেও চলে রোমাঞ্চকর যুদ্ধ। দুদলই ৫টি করে পেনাল্টি কিক নিয়ে ৪-৪ গোল করে ফের সমতায় আসে। পরে সাডেন ডেথ টাইব্রেকারে ২-১ গোলে জিতে ফাইনালে যাওয়ার ইতিহাস গড়ে রামু।
ম্যান সেরা হন রামুর স্ট্রাইকার জাহেদ। তাঁকে ম্যান অব দ্যা ম্যাচের ট্রফি তুলে দেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য সচিব মো. আলাউদ্দিন, টেকনিক্যাল কমিটির ইকবাল মোহাম্মদ শামসুল হুদা টাইডেল, আফসার উদ্দিন, খোরশেদ আলম, সরওয়ার রোমন, মাসুদ আলম ও মুহাম্মদ হোসাইন।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) টুর্নামেন্টের শেষ সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে শক্তিশালী সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ ও উখিয়া।