কক্সবাজারে প্রবল বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই বৃষ্টি আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত চলতে পারে। এরই মধ্যে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজারের পর্যটন এলাকা, টেকনাফসহ জেলার নয় উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সড়ক-উপসড়কে পানি উঠে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে। অতিবৃষ্টিতে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খরুলিয়া মাস্টার পাড়া ও বড়ুয়া পাড়ার কিছু রাস্তা ধসে পড়েছে। গতকাল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী।
অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের শঙ্কাও দেখা দিয়েছে। টেকনাফ ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন জানান, পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে মাইকিং করা হচ্ছে। এরই মধ্যে পুরাতন পল্লান পাড়া এলাকার পাহাড়ি ঢাল থেকে প্রায় ২০০ পরিবারকে সরিয়ে আনা হয়েছে।
এদিকে, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে তিন দিনের ছুটিতে ভিড় করেছেন দুই লাখের বেশি পর্যটক। সৈকতের কলাতলী থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় সমুদ্রে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ পর্যটকদের উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত রয়েছেন বেসরকারি সংস্থা সি-সেফ লাইফগার্ডের ২৬ জন কর্মী। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ ও বৈরী আবহাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গোসলে নামতে পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে।