চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. সেলিমকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে জামায়াতের একাংশ। তাকে ছাড়িয়ে আনতে জামায়াতের অপর একটি গ্রুপের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও থানায় উপস্থিত হন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার দুপুরে সীতাকুণ্ড পৌরসভার বাইপাস সড়কের পাশে কাতার টাওয়ার নামে বহুতল ভবনের অষ্টম তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। ওই অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত ভোজে আত্মীয়তার সুবাদে অংশ নেন আওয়ামী লীগ নেতা মো. সেলিম। এ সময় জামায়াতের কিছু রাজনৈতিক কর্মী তাকে আটক করে থানায় খবর দেন।
পুলিশ আসতে দেখে সেলিম পালানোর চেষ্টা করলে পড়ে গিয়ে আহত হন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি রক্ষা পাননি। পরে জামায়াতের একাংশ দাবি করে, সেলিমকে ছাড়িয়ে আনতে প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাও থানায় হাজির হয়েছিলেন। পুরো ঘটনাটি জামায়াতের এক নেতা ফেসবুকে লাইভ করলে তা এলাকায় আরও আলোচনার জন্ম দেয়।
এ প্রসঙ্গে সীতাকুণ্ড উপজেলা জামায়াতে ইসলামী’র স্পেশাল ইউনিটের রুকন প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কাতার টাওয়ারে চলমান ছাদ ঢালাইয়ের জন্য ইট, বালু, সিমেন্টসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম সরবরাহ করতে চেয়েছিলেন স্থানীয় রুবেল আনসারী। তাকে এ সরঞ্জাম সরবরাহ করতে না দেওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে তিনি দাবি করেন, আটক আওয়ামী লীগ নেতা সেলিমের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।
এ ঘটনার পর জামায়াত নেতাকর্মীরা থানায় হাজির হলেও পরে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হলে সবাই চলে যান। তবে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা চলছে।