1. admin1@shimantoshohor.com : নিজস্ব প্রতিবেদক: : নিজস্ব প্রতিবেদক:
  2. nrakash261@gmail.com : সীমান্ত শহর ডেস্ক: : NR Akash
  3. admin@shimantoshohor.com : প্রকাশক : সীমান্ত শহর ডেস্ক: Islam
  4. alamcox808@gmail.com : বিশেষ প্রতিবেদক : Badioul Alam বিশেষ প্রতিবেদক
শিরোনামঃ
বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া উপকূলে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার সময় ৫ জেলে আটক টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ ও কৃষক লীগের দুই নেতার পদত্যাগ মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের গ্র্যাজুয়েট প্লাস ভিসা চালুর সম্ভাবনা ভারত থেকে হু হু করে পানি ঢুকছে বাংলাদেশে, প্লাবিত হতে পারে ৫ জেলা প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিলো ইউকেএম ডিজিএফআইয়ের হেডকোয়ার্টার ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর আগামী নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা হতে পারে ১২ কোটি ৭৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫২ হিরো আলমের জানাজা কাল বিকেল ৫টায় পুলিশের এডিসিকে ছুরি মেরে পালিয়ে গেল ছিনতাইকারী এনসিপির পরিচয়ে বেপরোয়া সম্রাট

বোনের পাশে শায়িত হলো ছোট্ট নাফি, শোকে স্তব্ধ মা-বাবা

✍️ প্রতিবেদক: সীমান্ত শহর ডেস্ক:

  • আপডেট সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫
  • ১১ বার পঠিত

১৩ বছর আগে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আশরাফুল ইসলাম ও তাহমিনা দম্পতির কোল আলো করে পৃথিবীতে এসেছিল নাজিয়া তাবাসসুম নিঝুম। নিঝুমের জন্মের চার বছর পর কোলজুড়ে আসে ছেলে আরিয়ান আশরাফ নাফি (৯)।

কিন্তু গত সোমবার (২১ জুলাই) মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে আহত হওয়ার পর নাজিয়া ও তার ভাই নাফিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেদিনই রাত ৩টার দিকে মারা যায় নাজিয়া। আর মৃত্যুর সঙ্গে লড়তে থাকে তার ছোট ভাই নাফি। বোনের একদিন পর মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টার দিকে নাফিও পাড়ি জমায় না ফেরার দেশে।
নাজিয়াকে দাফনের মাত্র একদিন পরেই তাদের বাবা-মা নাফিকে দাফন করেন। নাজিয়ার ছোট ভাইকে তার পাশেই দাফন করা হয়। বুধবার এ দাফন সম্পন্ন হয়। রাজধানীর উত্তরার কামারপাড়ার এক কবরস্থানে পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে। দুই সন্তানের মৃত্যুতে নিঃসন্তান হয়ে গেলেন নীরব-তাহমিনা দম্পতি।

যে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে দিনরাত সময় কেটেছে বাবা-মায়ের, আজ তারা নিঃস্ব। পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃসঙ্গ মানুষ। যেন কেউ নেই তাদের সঙ্গে। শোকে পাথর পুরো পরিবার। সোমবার থেকে অনবরত চোখের পানি ঝরছে বাবা-মায়ের।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘উত্তরা বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ নাজিয়ার শরীরের ৯০ শতাংশ বার্ন হয়েছিল। আর নাফির শরীরের ৯৫ শতাংশ ফ্লেম বার্ন ছিল।’

নাজিয়া-নাফির বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল ছেলে-মেয়েকে ভালো স্কুলে পড়িয়ে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বানাবেন। ভর্তি করেছিলেন বাসার কাছাকাছি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। নাজিয়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে আর নাফি পড়তো ইংলিশ ভার্সনে দ্বিতীয় শ্রেণিতে।

নাজিয়া-নাফির দাদা বাড়ি ভোলার দৌলতখান উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের দক্ষিণ জয়নগর গ্রামেও চলছে শোকের মাতম। নাফির চাচা মো. হাসান বলেন, বিমান দুর্ঘটনায় আমার ভাই-ভাবি নিঃসন্তান হয়ে গেলেন। নাজিয়া ও নাফি দুজনই অনেক মেধাবী ছিল। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নাজিয়াকে উত্তরার কামারপাড়ার এক কবরস্থানে দাফন করা হয়। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে তার ছোট ভাই নাফি। পরবর্তীতে বুধবার দুপুরে নাফিকে তার বোনের পাশে একই কবরস্থানে দাফন করা হয়ে। একই সঙ্গে দুই সন্তান হারিয়ে আমাদের পুরো পরিবার শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে।

পোষ্টটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© 2025 Shimanto Shohor
Site Customized By NewsTech.Com