বাংলাদেশে একসময় জঙ্গি নাটক সাজিয়ে মাদরাসার ছাত্রদের ওপর বর্বর নির্যাতন চালানো হতো বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল (সিআর) আবরার।
তিনি বলেন, একসময় আমাদের দেশে জঙ্গি নাটক সাজানো হয়েছে। এসব জঙ্গি নাটক সাজিয়ে নিরীহ মানুষদের, বিশেষত মাদরাসাছাত্রদের ওপর বর্বর নির্যাতন চালানো হয়েছে। সেই সময় আশাহত ছিলাম, মনে হয়েছিল আমরা আর স্বাধীনভাবে চলতে পারবো না। কিন্তু গণঅভ্যুত্থান আমাদের নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। স্বাধীনভাবে চলার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সায়েদাবাদের গোলাপবাগ মাঠে ‘মাদরাসা রেজিস্ট্যান্স ডে’ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ‘জুলাই ২৪ পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার’ অংশ হিসেবে এ আয়োজন করে। এতে চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও বিভিন্ন ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, এখানে প্রদর্শিত প্রেরণার প্রজন্ম ডকুমেন্টরিতে যা দেখলাম এবং যা শুনলাম তা ভুলে যাবার নয়। প্রতিদিন রাস্তায় বের হলেই দেওয়ালে বিভিন্ন লেখা দেখি, বিভিন্ন গ্রাফিতি নতুন বাংলাদেশ গঠনে তরুণদের প্রত্যয় ও আকাঙ্ক্ষার কথা ফুটে উঠেছে। আমরা যেন তাদের এ প্রত্যয় ও আকাঙ্ক্ষার কথা ভুলে না যাই। লেখাগুলো আমাদের প্রতিদিন স্মরণ করিয়ে দেয় জুলুম ও নির্যাতন কথা।
ড. সি আর আবরার বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা জীবন দিয়েছে, পঙ্গুত্ববরণ করেছে, দৃষ্টি হারিয়েছে- জাতি হিসেবে তাদের এ ত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতেদর যেন আমরা ভুলে না যাই।
অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, পূর্বের শাসনামলে গুম, খুন, অত্যাচার ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে আলেম সমাজ। দাড়ি-টুপি দেখলেই তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হতো। চব্বিশের ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মাদরাসার শিক্ষার্থী ও আলেম সমাজ যে আত্মত্যাগ ও অদম্য সাহসিকতা দেখিয়েছে তা ভুলে যাওয়ার নয়। সব পর্যায়ের ছাত্র, জনতা, কৃষক, শ্রমিক সর্বস্তরের জনগণ রাজপথে নেমে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল, যার ফলে ফ্যসিবাদের বিদায় হয়েছে। যাত্রাবাড়ী ছিল গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।