জীর্ণশীর্ণ একটি ঘরে বিদ্যুতের তেমন ব্যবহার নেই। জ্বালানো হয় কেবল তিনটি বিদ্যুৎ–সাশ্রয়ী বাতি আর চলে একটি বৈদ্যুতিক পাখা। প্রতি মাসে বিল আসে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। কিন্তু সর্বশেষ জুন মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৪ টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুরের গাড়ারণ গ্রামের ঝালমুড়ি বিক্রেতা আবদুল মান্নানের বাড়িতে।
পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক আবদুল মান্নানের বাড়িতে গত শনিবার পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় কার্যালয় থেকে বিদ্যুৎ বিলের একটি অনুলিপি পাঠানো হয়। বিল দেখে তিনি আঁতকে ওঠেন। বিষয়টি বিদ্যুৎ অফিসে জানালে বিষয়টি একজন কর্মকর্তার ভুল হয়েছে জানিয়ে তা সংশোধন করে নতুন বিলের কাগজ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবদুল মান্নান বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে থাকেন। স্ত্রী মর্জিনা আক্তার প্রবাসী। বিদ্যুৎ মিটারটি মান্নানের নামেই ইস্যু করা। গত জুন মাসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজে প্রায় ১১ লাখ টাকার হিসাব দেখে তিনি ও তাঁর মেয়ে ভড়কে যান। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের পরামর্শে তিনি বিদ্যুৎ কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন। এরপর পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তাঁর বিল ঠিক করে দিয়েছে। ওই কার্যালয়ে এক কর্মকর্তার ভুলের কারণে এমনটা হয়েছে বলে তিনি জানতে পারেন। বিদ্যুৎ কার্যালয়ের লোকজনের ছোট–বড় এমন ভুলের কারণে গ্রাহকেরা প্রায় সময় হয়রানির শিকার হন বলে দাবি করেন মান্নান। এ ধরনের ভুল কমিয়ে স্বচ্ছ ও নির্বিঘ্ন সেবা নিশ্চিত করতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
বিষয়টি নজরে আনা হলে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর (শ্রীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়) উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আনোয়ারুল আলম বলেন, ‘একজন ঝালমুড়ি বিক্রের বাড়ির একটি মিটারে এত বেশি পরিমাণ বিল, এটা বোঝাই যায় ভুল হয়েছে। একটি ডিজিট (সংখ্যা) ভুলের কারণেই এমন বড় বিল চলে আসছে। বিষয়টি আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত সময়ে প্রকৃত বিল করে গ্রাহক কপি গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আর এ কাজের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাকে কারণ দর্শনো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গাফিলতির জন্য তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’