অক্টোবরের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন। সেই নির্বাচন পরিচালনার জন্য শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনও গঠন করেছে বিসিবি। বর্তমানে বিসিবির সভাপতির দায়িত্বে থাকা সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল দিনকয়েক আগে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচনে অংশ নেবেন আরেক সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালও। বিসিবির নির্বাচনের সব আলো এখন এই দুজনের দিকেই।
বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে। নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার অভিযোগের কথা জানিয়েছেন বর্তমানে বিসিবির সভাপতির দায়িত্বে থাকা টেস্ট ক্রিকেটে দেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। যা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। সেই আলোচনার রেশ না কাটতেই এবার বুলবুলকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
নির্বাচন করতে চাইলে বিসিবির সভাপতির পদ থেকে বুলবুলকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন তামিম। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) তিনি এই আহ্বান জানান। নির্বাচনকে সরকারের প্রভাবমুক্ত রাখতেও আহ্বান জানিয়েছেন এই সাবেক অধিনায়ক।
তামিম বলেন, ‘আমার মনে হয় ওনার রিজাইন করে দেয়া উচিত। কারণ এটার কী গ্যারান্টি এটা ফেয়ার থাকবে? এটার কোনো গ্যারান্টি নাই। আমার কাছে মনে হয়, দ্য মোস্ট ফেয়ারেস্ট ডিসিশন তার নেয়া উচিত। আমরা মনে করি যেহেতু উনি একজন অনেস্ট ব্যক্তি।’
‘যেহেতু উনি ইলেকশন করবেন, এটা নিয়ে কারো কোনো ক্লেইম থাকতেই পারে না। উনি বিসিবি থেকে রিজাইন করুক। আর তো মাত্র ২৫-২৬ দিনের ব্যাপার। এখন আপনি যদি পাঁচদিন আগে যেয়ে রিজাইন করেন, তাহলে তো ওটার কোনো মানেই হয় না। তো আমার কাছে মনে হয় উনি একটা ট্রেন্ড সেট করতে পারেন যে–ইলেকশনের এক মাস আগে আমি রিজাইন করে দিয়েছি। তাহলে এটা ভালো দিক হয়।’–তামিম যোগ করেন।
বিসিবির আসন্ন নির্বাচনে ক্লাব ক্যাটাগরিতে পরিচালক পদে লড়বেন তামিম। তবে এখনই সভাপতি হওয়া নিয়ে কিছু ভাবছেন না তিনি। আপাতত লক্ষ্য পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে বিসিবিতে যুক্ত হয়ে ক্রিকেট উন্নয়নে কাজ করা।