1. admin1@shimantoshohor.com : নিজস্ব প্রতিবেদক: : নিজস্ব প্রতিবেদক:
  2. nrakash261@gmail.com : সীমান্ত শহর ডেস্ক: : NR Akash
  3. admin@shimantoshohor.com : প্রকাশক : সীমান্ত শহর ডেস্ক: Islam
  4. alamcox808@gmail.com : বিশেষ প্রতিবেদক : Badioul Alam বিশেষ প্রতিবেদক

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারডুবি, ৫ জেলে নিখোঁজ

✍️ প্রতিবেদক: সীমান্ত শহর ডেস্ক:

  • আপডেট সময়ঃ মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫
  • ৩২ বার পঠিত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর কলাপাড়া সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এফবি সাগরকন্যা নামের একটি মাছধরা ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জেলেকে উদ্ধার করা গেলেও খোঁজ নেই পাঁচজনের।

বুধবার (২৩ জুলাই) সমুদ্রে মাছ ধরতে ট্রলারটি ১৫ জন জেলে নিয়ে পটুয়াখালীর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র মহিপুর থেকে বঙ্গোপসাগরে পাড়ি জমায়। এর একদিন পর শুক্রবারে গভীর সমুদ্রে দুর্ঘটনা কবলিত হয় ট্রলারটি। পরে অন্য জেলেদের সহযোগিতায় মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) পর্যন্ত ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে এখনো খোঁজ নেই পাঁচ জেলের।

নিখোঁজের স্বজন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সমুদ্রে চারদিন ভেসে থাকার পর ১০ জেলেকে উদ্ধার করেছে অপর তিনটি মাছধরা ট্রলার। সোমবার গভীর রাতে দুই দফায় ৯ জন এবং মঙ্গলবার সকালে কুয়াকাটা সংলগ্ন প্রায় ২০০ কিলোমিটার গভীরে একজনকে উদ্ধার করতে পারলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে আবদুর রশিদ (৪৫), নজরুল ইসলাম (৩৫), রফিক, ইদ্রিসসহ (৪৩) পাঁচ জেলে। নিখোঁজ জেলেরা কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। মঙ্গলবার ভোরে আহত জেলেদের কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিখোঁজ জেলে ইদ্রিসের শ্বশুর মো. এমদাদুল জাগো নিউজকে বলেন, ‘বুধবার সকালে আবদুর রশিদ মাঝি নামের এক জেলের সঙ্গে আমার জামাইসহ ১৫ জেলে মহিপুর থেকে ওই ট্রলার নিয়ে গভীর সাগরে যায়। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে শেষ বয়ার ৭৫ কিলোমিটার গভীরে গিয়ে জাল ফেলার পর হঠাৎ একটি ঝড় ও উত্তাল ঢেউয়ের তাণ্ডবে তাদের ট্রলারটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ডুবে যায়। পরে তারা ভাসতে ভাসতে শেষ বয়া এলাকায় পৌঁছলে দুটি ট্রলার সোমবার ৯ জন এবং মঙ্গলবার একজনকে উদ্ধার করা হয়।’

নিখোঁজ আব্দুর রশিদের ভাই ফয়েজ আলী জানান, ‘আমার ভাই সকাল ৯টায় ট্রলার ছেড়ে গেছে এরপর ওই ১২টা পর্যন্ত কথা বলছি ফোনে। এরপর নেটওয়ার্কের বাহিরে চলে যাওয়ার কারণে ফোনে পাইনি। ৩ থেকে ৪দিন পর আসার কথা থাকলেও খোঁজ না থাকায় আমরা বোট মালিকের কাছে যাই। তিনিও কিছু জানেন না। এখন যারা ফিরে এসেছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলছেন ট্রলারটি তলিয়ে যাওয়ার পরে যে যা পারছে তা নিয়ে ভেসে ছিল। সমুদ্রের জোয়ারে কোথায় কারে নিয়ে গেছে তা বলতে পারি না।’

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান বলেন, ‘২৬ জুলাই ট্রলারমালিক কিশোর হাওলাদার জেলে নিখোঁজ উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এখন পর্যন্ত ১০ জন উদ্ধার হয়েছে। তাদের তিনজনকে চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে। বাকি সাতজন কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা নিখোঁজ ৬ জেলের সন্ধানের চেষ্টা চালাচ্ছি।’

পোষ্টটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© 2025 Shimanto Shohor
Site Customized By NewsTech.Com