সুপ্রিম কোর্ট ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ থেকে মাজার স্থানান্তর ও সেখানকার বহুতল বিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হয়েছে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এই আবেদন করেন।
দেশি-বিদেশি সন্ত্রাসী ও বিদেশি গোয়েন্দারা ছদ্মবেশে মাজারে ভক্ত সেজে অবস্থান করার অশঙ্কায় সুপ্রিম কোর্ট ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে এই আবেদন করা হয়।
একই সঙ্গে এই বহুতল বিশিষ্ট মসজিদ ভবন থেকে ছদ্মবেশী দেশি-বিদেশি সন্ত্রাসী ও বিদেশি গোয়েন্দারা সুপ্রিম কোর্ট ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নজরদারি চালাতে পারে বলে জানানো হয় আবেদনে।
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বিশ্বের বহু দেশে কবর স্থানান্তরের অনেক উদাহরণ আছে। এটা নতুন কোনো বিষয় নয়। ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় এই মাজার অন্য কোনো উপযুক্ত জায়গায় প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে।
এছাড়া বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে বহুতল বিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণ করলে সেখানেও নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে। তাই সড়ক ভবনের মসজিদটি ভেঙে বহুতল বিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণের বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে আবেদনে।
আবেদনে বলা হয়, ‘আমি মাহমুদুল হাসান। সুপ্রিম কোর্ট ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রাঙ্গণে একটি মাজার ও মাজার মসজিদ আছে। বর্তমানে এই মাজার মসজিদটি ভেঙে বহুতলবিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণের কাজ চলছে। সুপ্রিম কোর্ট ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে মাজার থাকার কারণে সবসময় মাজার প্রাঙ্গণে ভবঘুরে লোকজন, ভিক্ষুক ও ভক্তরা অবস্থান করেন। বর্তমানে বিশ্ব পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ নয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত ও পাকিস্তানে মাঝেমাঝেই সন্ত্রাসী হামলা হয়।’
এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় মাজার থাকার কারণে দেশি-বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর লোকজন ও বিদেশি গোয়েন্দা বাহিনীর লোকজন ছদ্মবেশে ভিক্ষুক ও ভক্ত হিসেবে এই মাজার প্রাঙ্গণে অবস্থান করতে পারে। এসব সম্ভাব্য ছদ্মবেশী সন্ত্রাসী ও বিদেশি গোয়েন্দাদের দ্বারা ভবিষ্যতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা রয়েছে।
এর ফলে নিকট ভবিষ্যতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, আইনজীবী, কোর্টের স্টাফ ও বিচারপ্রার্থী জনগণের জীবনের চরম হুমকি রয়েছে।
এমতাবস্থায় যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় উক্ত মাজারটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রাঙ্গণ থেকে স্থানান্তর করে অন্য কোথায় উপযুক্ত জায়গায় প্রতিস্থাপন করা আবশ্যক। এতে করে দেশি-বিদেশি সন্ত্রাসী ও বিদেশি গোয়েন্দারা ছদ্মবেশে ভিক্ষুক ও ভক্ত সেজে মাজারে অবস্থান করতে পারবে না।