নওগাঁর মহাদেবপুরের সাবরেজিস্ট্রার অফিসের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রক কনককে ১০ দিনেও আটক করতে পারেনি পুলিশ। কনকের বিরুদ্ধে ডিবিসির সাংবাদিক সাজুকে মারধর ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে মামলা করে। মামলায় মোট ১০ জনকে আসামি করা হয়।
তবে প্রধান আসামি হিসেবে কনক রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যরা থানা চত্বরে প্রকাশ্য চলাচল করছে বলে জানা গেছে। কনক উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার অফিসের সমিতির একটি দায়িত্বশীল পদে রয়েছে। ভূমি খারিজ দলিল সম্পাদন করার ক্ষেত্রে সমিতিকে বড় একটি চাঁদা দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে কনকের নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
প্রতিদিন প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার অবৈধ কারবার নিয়ন্ত্রণ করে কনক বাহিনী। সম্প্রতি মহাদেবপুরে রাতের আধারে জমির খারিজ সম্পাদক করা নিয়ে সাধারণ মানুষের ভেতর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। এসব ব্যাপারে গত ২৭ আগস্ট ডিবিসির নওগাঁ প্রতিনিধি একে সাজু সেখানে যায়। এ সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময় কনক ও তার বাহিনী সেখানে এসে তার কাছে থাকা ক্যামেরা মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। মারধরের এক পর্যায়ে সাজুকে সাবরেজিস্ট্রারের সামনে নিয়ে গিয়ে আরেক দফা মারপিট করে।
পরে থানা পুলিশ গিয়ে আহত অবস্থায় সাজুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এ ঘটনায় কনককে প্রধান করে ১০ জন আসামির নাম দিয়ে মহাদেবপুর থানায় গত ১ সেপ্টেম্বর মামলা করে সাজু। সাজু অভিযোগ করে জানায়, পুলিশ প্রধান আসামিকে আটক না করে টালবাহানা করছে। প্রতিদিনি থানা চত্বরের প্রকাশ ঘোরাফেরা করলেও তাকে খুঁজে পাচ্ছে না।
এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত মো. শাহীন রেজা জানান, প্রধান আসামিকে আটক করার জন্য জোর চেষ্টা চলছে।