ভোলার মনপুরা উপজেলার কলাতলী ইউনিয়ন উচ্চ জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। আজ শুক্রবার ইউনিয়নের মনিরবাজার এলাকায়ছবি: সংগৃহীত
সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপের কারণে ভোলার চরাঞ্চল উচ্চ জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। এতে ভোলার ফেরিঘাট ডুবে গেছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে দমকা হাওয়া বইছে, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। সাগর ও মেঘনা নদীতে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলায় ভোলার ছয় নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ আছে।
ভোলা আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় ভোলাসহ উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাতের সঙ্গে টানা দমকা হাওয়া বইছে। এ কারণে সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ভোলার নদীগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, শুক্রবার মেঘনায় জোয়ারের উচ্চতা ছিল ৩ দশমিক ৭০ মিটার। বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে জোয়ার প্লাবিত হওয়ার কারণে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটের হাইওয়াটার ও লোওয়াটার ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে ডুবে যাচ্ছে। এ কারণে ফেরি ওঠানামায় সমস্যায় পড়ছেন যানবাহনের চালকেরা।
ভোলা নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেন বলেন, লঘুচাপে সাগর উত্তাল হলেই ভোলার মেঘনা নদী উত্তাল হয়ে যায়। এ নদীকেও ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ কারণে ঢাকা-মনপুরা-হাতিয়া, ভোলার চরফ্যাশন বেতুয়া-ঢাকা, ভোলা-লক্ষ্মীপুর, দৌলতখান-আলেকজান্ডার, হাকিমুদ্দিন-আলেকজান্ডার, তজুমদ্দিন-মনপুরা নৌপথে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে লঞ্চ, সিট্রাক চলাচল বন্ধ আছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলার রাজাপুর, ভেলুমিয়া, ভেদুরিয়া, কাচিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও বাঁধের বাইরে, দৌলতখান উপজেলার মদনপুর, মেদুয়া, ভবানীপুর, তজুমদ্দিন উপজেলার মলংচরা, সোনাপুর, মনপুরা উপজেলায় কলাতলীসহ ৭ উপজেলার প্রায় ৭৪টি চরাঞ্চল উচ্চ জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় প্রায় ৩ লাখ লোক বিপদের মুখে বসবাস করছেন।