মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ও জোহর বাহরুতে পৃথক অভিযানে বাংলাদেশিসহ ১৭১ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর সেতাপাকের দানাউ কোটার ১৯ তলা ফ্ল্যাটে চালানো অভিযানে ১২৫ জনকে আটক করা হয়।
কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ জানান, আটককৃতদের মধ্যে ৮১ জন পুরুষ ও ৪৪ জন নারী রয়েছেন, যাদের বয়স ১৬ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। তারা মিয়ানমার (৬৯), ভারত (২৫), পাকিস্তান (১৪), ইন্দোনেশিয়া (১২) এবং বাংলাদেশ (৫) থেকে এসেছেন।
তিনি বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগ ও দুই সপ্তাহের নজরদারির পর এই অভিযান চালানো হয়। মোট ৬৪টি ইউনিটে অভিযান চালিয়ে ৪০০ জনকে যাচাই করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বৈধ কাগজপত্র না থাকা বা ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন পরিচালক বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের ঘর ভাড়া দিলে ৫৬(১)(ডি) ধারায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে বুধবার রাতে জোহরের উলু তিরম এলাকায় ‘অপস সাপু’ অভিযানে আরও ৪৬ জনকে আটক করা হয়। জোহর ইমিগ্রেশন পরিচালক দাতুক মোহাম্মদ রুসদি মোহাম্মদ দারুস জানান, আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন ১৩ জন ইন্দোনেশিয়ান পুরুষ, ১০ জন ইন্দোনেশিয়ান নারী, ১২ জন মিয়ানমারের পুরুষ, ৪ জন মিয়ানমারের নারী, ৪ জন বাংলাদেশি পুরুষ, ১ জন নেপালি পুরুষ এবং ২ থেকে ৬ বছর বয়সী দুই ইন্দোনেশিয়ান শিশু।
তিনি বলেন, আটককৃতদের ইমিগ্রেশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে এবং অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্ত চলছে। অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ বা আশ্রয় প্রদানকারীদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এছাড়া ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ অবৈধ অভিবাসীদের আগামী ৩০ এপ্রিল ২০২৬ পর্যন্ত চলমান অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি ২.০-তে অংশ নিয়ে স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।