কক্সবাজারের উখিয়ার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আয়োজিত গণহত্যা দিবসের সমাবেশে লাখো রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও পুরুষ একসঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দাবি জানায়। তারা বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং সরকারের পরিকল্পিত নৃশংসতায় শিশুসহ মা-বোনদের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, গ্রামগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, লাখো মানুষকে দেশছাড়া করা হয়েছে। এই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের দায় এড়াতে পারে না মিয়ানমার সরকার।
সমাবেশে রোহিঙ্গা নেতারা জানান, সাত বছর আগে মিয়ানমারে ঘটে যাওয়া গণহত্যা আজও আন্তর্জাতিক মহলের বিবেককে নাড়া দেয়নি। তারা বলেন, “আমরা বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি। কিন্তু আমাদের ন্যায্য অধিকার— নাগরিক স্বীকৃতি, নিরাপদ প্রত্যাবর্তন ও ন্যায়বিচার এখনো অধরা।”
রোহিঙ্গারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান, মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা পরিচালনা করে দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। পাশাপাশি তারা নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসনের নিশ্চয়তা চান।
এ সময় সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, “আমাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, নারীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। এসব অপরাধের বিচার না হলে পৃথিবীতে মানবাধিকার নামক কোনো শব্দের অস্তিত্ব থাকবে না।”
সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সাধারণ রোহিঙ্গারাও স্লোগানে স্লোগানে ন্যায়বিচার ও নাগরিক অধিকার ফিরে পাওয়ার দাবি তুলেন।