খাগড়াছড়ির রামগড়ে জায়গা-জমির বিরোধের জের ধরে শয়নকক্ষে দাদী-ফুফুকে গলাকেটে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি সাইফুল ইসলাম (৩৫)। সাইফুল নিহত আমেনা বেগমের বড় ছেলে সাহাব উদ্দিনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) খাগড়াছড়ি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাফরিমা তাবাসসুম এর আদালতে তিনি এ জবানবন্দি প্রদান করেন।
এর আগে গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ফেনীর ছাগলনাইয়া থেকে রামগড় থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
জানা যায়, গত ২১ আগস্ট গভীর রাতে রামগড় পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রত্যন্ত এলাকা পূর্ব বাগানটিলায় নিজ বাড়ির শয়নকক্ষে গলা কেটে হত্যা করা হয় আমেনা বেগম (৯৫) ও তার মেয়ে রাহেনা আক্তারকে (৪০)। নিহত রাহেনার ছেলে মো. হাসান বাদী হয়ে পরদিন ২২ আগস্ট রামগড় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সাইফুলকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার সাইফুল হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে ভবঘুরে অবস্থায় অস্বচ্ছলভাবে জীবন-যাপন করছিল সাইফুল। স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য জায়গা ও টাকা পয়সা চাইলে তার দাদি ও ফুফু তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ২১ আগস্ট রাতে নিজ শয়নকক্ষে ঘুমন্ত দাদী ও ফুফুকে গলা কেটে হত্যার পর পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিহত ফুফু রাহেনার মোবাইল ফোনটিও সে নিয়ে যায়।