বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বগুড়া জেলা শাখার সহ-সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদকে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্তের আদেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। আগামী রবিবার থেকে এই আদেশ কর্যকর করা হবে জানিয়েছন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রকল্প কাজ সম্পন্ন না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা প্রশাসক, বগুড়ার সুপারিশের পর তদন্ত কমিটি এসব অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪ (৪) (খ) ও (ঘ) ধারা অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হলো এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে আমরা আদেশটি হাতে পেয়েছি। আগামী রবিবার থেকে এটা কার্যকর করা হবে।’
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আব্দুল্লাহ আল মুস্তাফিধ নাসিমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে সাময়িক বহিস্কারের ব্যাপারে কিছু জানিনা। বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ব্যাপারে তিনি বলেন এাঁ জামায়াতের পার্শ্ব সংগঠন।’
উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে তিনি জয় লাভ করেন। এরপর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ করে আসছিলেন ইউপি সদস্যরা। কিন্তু, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ট হওয়ার কারণে তারা প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে পারেননি। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থতিতে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৮ জন ইউপি সদস্য তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা লুটপাটের লিখিত অভিযোগ করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো।