রাজধানীর বাংলামোটরে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী চারজনসহ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের আরো সাত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য রোমান আহমেদ (৩২), আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নির্বাহী সদস্য সঞ্জীব ইসলাম আফেন্দী (৩৫), কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সদস্য নাবেদ আহমদ নব (২৫), কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার ছাত্রলীগ নেতা মো. মিজানুর রহমান (৪০), আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জাকির হোসেন (৫৫), তেজগাঁও থানা যুবলীগের ২৬ নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন (৪০) ও আওয়ামী লীগের বংশাল থানার ৩৩ নং ওয়ার্ড সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সানাকাত (৩৮)।
ডিবির বরাতে তালেবুর রহমান বলেন, শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে ডিবি-তেজগাঁও বিভাগ রাজধানীতে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে রোমান আহমেদ, সঞ্জীব ইসলাম আফেন্দী, নাবেদ আহমদ নব ও মো. মিজানুর রহমাকে গ্রেপ্তার করে।
অন্যদিকে একই দিন সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে হাজারীবাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-রমনা বিভাগের একটি টিম। রাত আনুমানিক ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে ডিবি-ওয়ারী বিভাগের একটি টিম ডেমরা থানাধীন বাঁশেরপুল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো.জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। এদিন দিবাগত রাত আনুমানিক ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে বংশাল থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. সানাকাতকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-লালবাগ বিভাগ।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।
তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আইন-শৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।