বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে লাইফগার্ড সার্ভিস ফান্ডের অভাবে বন্ধ হওয়ার মুখে। গত ১০ বছরে সৈকতে কাজ করা লাইফগার্ডরা ৮০৭ জন পর্যটককে বাঁচিয়েছেন এবং ৬৫ জনের মৃত্যুর রেকর্ড করেছেন। শুধুমাত্র গত বছরে ১১ জন ডুবে মারা গেছেন এবং ৭৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
লাইফগার্ডদের দায়িত্ব কেবল পেশা নয়, এটি পর্যটকের জীবন রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা। প্রকল্পের ফান্ড শেষ হলে কেউ থাকবেন না সৈকতে পর্যটকদের জীবন বাঁচানোর জন্য। স্থানীয় প্রশাসন ও পর্যটন কর্মকর্তারা সরকারের সহায়তা চাওয়া শুরু করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, লাইফগার্ড সার্ভিস বন্ধ হলে ভবিষ্যতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। পর্যটকরা জানিয়েছেন, “লাইফগার্ড না থাকলে সৈকতে প্রবেশ করা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। আমাদের পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে না।”
পর্যটন পুলিশও জানিয়েছেন, এই সার্ভিস পর্যটকের নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য এবং এটি বন্ধ হওয়া উচিত নয়। তবে সমালোচকরা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন এমন গুরুত্বপূর্ণ সেবা দাতৃপ্রকল্পের ওপর নির্ভরশীল।
বর্তমানে লাইফগার্ডরা দায়িত্ব পালন অব্যাহত রেখেছেন, কিন্তু ফান্ড না থাকলে এটি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়ে গেছে।