1. admin1@shimantoshohor.com : ডেস্ক নিউজ • : ডেস্ক নিউজ •
  2. nrakash261@gmail.com : সীমান্ত শহর ডেস্ক: : NR Akash
  3. admin@shimantoshohor.com : প্রকাশক : সীমান্ত শহর ডেস্ক: Islam
  4. alamcox808@gmail.com : ডেস্ক নিউজ : : ডেস্ক নিউজ :
শিরোনামঃ
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে: আলী রীয়াজ ভারতের বারবার অনুরোধে ১২০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে! ব্যবস্থাপত্রের ছবি তুলতে পারবেন না ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা জাকসুতেও শিবির সমর্থিত প্যানেলের ভূমিধস জয় আওয়ামী আমলে পাসপোর্ট জিম্মি, চার বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন জামায়াত নেতা শাহ জালাল চৌধুরী মিয়ানমারে স্কুলে জান্তার বিমান হামলায় ১৯ শিক্ষার্থী নিহত টানা ৪ দিনের ছুটি মিলছে সরকারি কর্মচারীদের সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের ‘কাঠগড়ায়’ হাইকোর্টের আরও ৪ বিচারপতি যুবলীগ নেতাকে থানার ভোজ খাইয়ে ক্লোজড ওসি মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে টাকা নেন আ. লীগ নেতা, এখন মিলছে না খোঁজ

সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের ‘কাঠগড়ায়’ হাইকোর্টের আরও ৪ বিচারপতি

✍️ প্রতিবেদক: সীমান্ত শহর ডেস্ক:

  • আপডেট সময়ঃ শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৮ বার পঠিত
ফাইল ছবি

দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংক্রান্ত পরিষদ সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের ‘কাঠগড়ায়’ নানা অভিযোগের মুখে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের চারজন বিচারপতি। দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে কাজ করার অভিযোগে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের বেঞ্চের বাইরে রেখেছেন।

বেঞ্চের বাইরে থাকা চার বিচারপতি হলেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান। গত বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে প্রধান বিচারপতির আদেশে বিচার কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন তারা। গত বছরের ২০ অক্টোবর থেকে পুনরুজ্জীবিত সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের তদন্তের মুখে রয়েছেন তারা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও নিষ্পত্তি এখনো শেষ হয়নি বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট সূত্র।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জন বিচারপতিকে হাইকোর্টে বিচার কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছিল। তাদের মধ্যে অপসারণ ও অন্যান্য কারণে আটজনের বিষয়ে সুরাহা হয়েছে। বাকি চারজনের অভিযোগের বিষয়টি কাউন্সিলে এখনো তদন্ত চলছে।

সুপ্রিম কোর্ট সূত্র মতে, এই তালিকায় ছিলেন মোট ১২ জন বিচারপতি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ অভিযোগের মুখে পদত্যাগ করেছেন, কেউ কেউ অবসর নিয়েছেন, কারও কারও চাকরি আর স্থায়ী করা হয়নি। সর্বশেষ, এই তালিকায় থাকা বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে নিজে স্বাক্ষর করে গত ৩১ আগস্ট পদত্যাগপত্র পাঠান। এর পর ৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ওই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন।

জানা গেছে, বিচারপতি আখতারুজ্জান যখন রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান, তখনো তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলছিল। এরই মধ্যে তিনি পদত্যাগ করেন। তার বিষয়ে অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে গত ২৩ মার্চ রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলকে নির্দেশনা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ২৫ জুন তাকে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলে তলব করা হয়। ১ জুলাই বিচারপতি আখতারুজ্জামান কাউন্সিলে হাজির হয়ে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যাখ্যা দেন। সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলে তার বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয় ২৬ আগস্ট।

সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানায়, অভিযোগ ওঠা ও বেঞ্চ না পাওয়ার পর বিচারপতি আখতারুজ্জামানের মতো পদত্যাগ করে চলে গেছেন বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন। তিনি গত ৩০ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে নিজ স্বাক্ষরযুক্ত পত্রের মাধ্যমে পদত্যাগ করেন।

এর মধ্যে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম এবং বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনকে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক ছিলেন না। ২০২২ সালের ৩১ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে তারা নিয়োগ পান।

আওয়ামী লীগ আমলে গত বছরের ৩০ জুলাই তাদের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ না দিয়ে আরও ছয় মাসের জন্য অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। গত ৩০ জানুয়ারি তাদের সেই বর্ধিত মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর বর্তমান সরকারের আমলে তাদের চাকরি স্থায়ী করা হয়নি বা মেয়াদও বাড়ানো হয়নি।

অপর দুজন বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান এবং আশীষ রঞ্জন দাস ইতিমধ্যে অবসর গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান গত ৩০ ডিসেম্বর এবং বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস গত ৩০ জানুয়ারি চাকরির মেয়াদ পূর্ণ করে অবসরে যান।

এছাড়া, সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর রাষ্ট্রপতি দুজন বিচারপতিকে অপসারণ করেন। তারা হলেন বিচারপতি খিজির হায়াত ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। এর মধ্যে বিচারপতি খিজির হায়াতকে গত ১৮ মার্চ অপসারণের পর বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে ২১ মে পদচ্যুত করা হয়। সর্বশেষ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আখতারুজ্জামানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।

বিচারপতিদের অপসারণের এই ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী এনেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে। গত বছরের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক রায়ে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করা হয়। এর মধ্য দিয়ে বিচারপতিদের অপসারণের বিষয়টি জাতীয় সংসদের পরিবর্তে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলে প্রত্যাবর্তন করে।

২০১৭ সালে রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ গত বছরের ১৯ অক্টোবর রায় দেয়। এর ফলে কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অসমর্থ বা গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ উঠলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

পোষ্টটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© 2025 Shimanto Shohor
Site Customized By NewsTech.Com
error: Content is protected !!