মানিকগঞ্জে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সীল ও স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া প্রত্যয়নপত্র তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জামায়াতকর্মী সেলিম মোল্লার (৪০) বিরুদ্ধে। এই জাল প্রত্যয়নপত্র ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র করার আবেদন করতে গিয়ে ধরা পড়েছে ১৫ বছরের এক কিশোর।
সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের গিলন্ড গ্রামের কিশোর মো. রবিউল হাসান ওই প্রত্যয়নপত্র নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে সচিবের হাতে ধরা পড়ে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, এলাকার বড় ভাই পরিচয়ে সেলিম মোল্লা তাকে এ কাগজ সরবরাহ করেন এবং প্রতিশ্রুতি দেন, এ কাগজেই বয়স বাড়িয়ে ভোটার আইডি তৈরি করা সম্ভব।
অভিযুক্ত সেলিম মোল্লা গিলন্ড বাজারে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় ফিল্ড সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত এবং তিনি স্থানীয়ভাবে জামায়াতে ইসলামী রাজনীতির সক্রিয় কর্মী।
ভুয়া প্রত্যয়নপত্রে ‘রাকিব আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়’-এর প্যাড ব্যবহার করা হয় এবং প্রধান শিক্ষক সানোয়ার হোসেনের সীল স্বাক্ষর জাল করা হয়। প্রধান শিক্ষক জানান, প্রতিষ্ঠান থেকে এমন কোনো প্রত্যয়ন দেওয়া হয়নি। এটি সম্পূর্ণ জাল এবং প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান।
ইউপি সচিব মোহাম্মদ পিয়ার আলী বলেন, নথি হাতে পেয়েই সন্দেহ হয়েছিল। যাচাইয়ের পর নিশ্চিত হই এটি জাল। এরপর কিশোরকে সতর্ক করে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সেলিম মোল্লা প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে অনৈতিকভাবে খাম দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা জামায়াতের আমির ফজলুর হক এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।