শিগগিরই লন্ডন থেকে দেশে ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। এখনও দেশে ফেরেননি কেন, এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ‘কিছু সঙ্গত কারণে ফেরা হয়নি। তবে সময় তো চলে এসছে? ইনশাল্লাহ দ্রুতই ফিরে আসব। রাজনীতি যখন করি। নির্বাচনের সঙ্গে ওতপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে। জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনের সময় কেমন করে দূরে থাকব? সেই প্রত্যাশিত নির্বাচনের সময়ে, অনুষ্ঠিত হওয়ার সময়ে জনগণের সঙ্গে, তাদের মাঝেই থাকব।’
আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) সাক্ষাৎকারটির প্রথম পর্ব প্রকাশ করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে তারেক রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন রকম শঙ্কার কথা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি।’ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা ও নিজেকে মাস্টারমাইন্ড মনে করেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, আমি আমাকে কখনোই মাস্টারমাইন্ড হিসেবে দেখি না। জুলাই আন্দোলন সফল হয়েছে জুলাই মাসে। কিন্তু এর প্রেক্ষাপট শুরু হয়েছে বহু আগে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই আন্দোলনে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছে, নির্যাতিত হচ্ছে। জনগণ সবার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছে। মাদ্রাসা ছাত্ররা ছিল। গৃহিণীরা নেমে এসেছে। কৃষক, দোকানি, গার্মেন্টস কর্মী, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নেমে এসেছেন, সাংবাদিকরা সক্রিয় ছিলেন। কারও ভূমিকাকে খাটো করে দেখতে চাই না। দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেকের অবদান ছিল। এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ।’
আন্দোলনের ছাত্র নেতাদের যোগাযোগের বিষয়ে বলেন, ‘আমি বাইরে থেকে কাজ করায় যোগাযোগ অনলাইনে রাখতে হয়েছে। প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে বিভিন্নভাবে করতে হয়েছে।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি অবিস্মরণীয় ঘটনা এই আন্দোলন, এই আত্মত্যাগ। সাধারণ এমন আন্দোলনে শিশু হত্যা হয় না। কিন্তু এই আন্দোলনে যতটুকু মনে করে, ৬৩ জন শিশু মারা গেছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই আন্দোলনের ক্রেডিট কোনও রাজনৈতিক দলের নয়। অনেকে অনেক কিছু বলতে পারেন, সেটি তাদের অবস্থান। আমার দলের অবস্থান হলো, আন্দোলনে জনগণ সফলতা লাভ করেছে। এতে দুটি পক্ষ আছে। একটি পক্ষ হচ্ছে, দুই হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আরেক পক্ষ হচ্ছে, ৩০ হাজারের মতো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অন্ধ ও পঙ্গু হয়েছেন। সরকার, রাজনৈতিক দলসহ সবার উচিৎ, তাদের পাশে দাঁড়ানো।’