
সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির দুর্নীতি দমন কর্তৃপর্তৃক্ষ (নাজাহা )। নাজাহা’র মুখপাত্র জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খপু তদন্তের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে শিল্প ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মচারী রয়ে ছেন। তিনি একজন বিদেশী বিনিয়োগকারীর মালিকানাধীন একটি কোম্পানিকে অবৈধভাবে ক্রাশার লাইসেন্স পাইয়ে দেয়ার বিনিময়ে ১৬ লাখ ২৫ হাজার রিয়াল গ্রহণ করেন। এছাড়া, একটি গভর্নরেটের পৌরসভার এক কর্মচারী অবৈধভাবে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে টেন্ডার পাইয়ে দেয়ার জন্য ১ লাখ ৯৫ হাজার রিয়াল ঘুষ নেন। পৃথক অভিযানে, কৃষি জমির দলিলের অভাবে জারি করা ভাঙার আদে শ বাতিলের বিনিময়ে এক নাগরিককে ৮৫ হাজার রিয়াল গ্রহণকালে গ্রেপ্তার করা হয়; এই ঘটনায় জড়িত পৌরসভার আরও দুই কর্মচারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
একটি আঞ্চলিক সচিবালয়ের একজন কর্মচারী একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮৩ লাখ রিয়ালের পাওনা অবৈধভাবে পাইয়ে দেয়ার সুবিধার জন্য ২ লাখ ৪০ হাজার রিয়ালের মধ্যে ৩০ হাজার রিয়াল গ্রহণ করার সময় ধৃত হন। এছাড়া, একটি পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্টের পরিচালক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রতিবেদন না করার শর্তে৩৫ হাজার রিয়াল গ্রহণ করেন।
দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে আরও আছেন বেসামরিক প্রতিরক্ষা অধিদপ্তরের একজন নন-কমিশন্ড অফিসার (অবৈধ পারমিটের জন্য ১০,৪৩০০ রিয়াল গ্রহণ), একটি সরকারি হাসপাতালের কর্মচারী (ক্যাটারিং কোম্পানির ১২,০০০ রিয়াল আত্মসাৎ), এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন নন-কমিশন্ড অফিসার (চাকরির ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থগ্রহণ)। এছাড়াও নাজাহা’র অভিযানে লাইসেন্সিং পরীক্ষায় জালিয়াতির প্রতিশ্রুতিতে অর্থগ্রহণকারী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মী, হোটেলের পারমিট বাতিল না করার শর্তেঘুষ নেওয়া হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মী এবং অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য অর্থগ্রহণকারী সৌদি ইলেকট্রিসিটি কোম্পানির এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নাজাহা’র মুখপাত্র পুনর্ব্যক্ত করেছেন, যারা সরকারি তহবিলের ক্ষতি করে, ব্যক্তিগত লাভের জন্য পদের অপব্যবহার করে বা জনস্বার্থের ক্ষতি করে, তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের পর্যবেক্ষণ ও অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, চাকরি থেকে অবসরের পরেও দোষীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে এবং আইন প্রয়োগে কোনো প্রকার শিথিলতা দেখানো হবে না।